কলকাতার বাঙালীদের দুটো বিষয় থেকে দূরে রাখা অসম্ভব, এক হল প্রেম আর দুই হল বিরয়ানী। প্রথম টাকে ভাগ্যের অপর ছেড়ে দিলেও বিরয়ানী থেকে বাঙালী কোন শর্তেই দূরে থাকতে পারে না।
কলকাতায় বিরয়ানীর প্রবেশ নবাব ওয়াজিদ আলির হাত ধরে। আওধের শেষ নবাব ছিলেন নবাব ওয়াজিদ আলি । তিনি গান বাজনা নৃত্য খাওয়া ঘুড়ি ওড়ানো এই সবই নাকি বেশি পছন্দ করতেন এবং এই নিয়েই মেতে থাকতেন। কিন্তু ইংরেজ দের অত্যাচারে রাজ্য ও রাজ পাঠ দুটোই হাত ছাড়া হয়। ইংরেজরা এই নবাব ওয়াজিদ আলি কে ২ বছর কারাগারে রাখার পর তাঁকে তার ইচ্ছা অনুযায়ী কলকাতায় পাঠিয়ে দেন। নবাব ওয়াজিদ আলির সব থেকে প্রিয় শহর ছিল এই কলকাতা। ১৮৫৬ সালে নবাব ওয়াজিদ আলি চলে আসেন কলকাতার মেতিয়াবুরুজ অঞ্চলে সেখানেই তিনি এই বিরয়ানী সকল কে বিনা পয়সায় খাওয়াতে শুরু করেন, কিন্তু অর্থ খুব বেশি না থাকায় বিনে পয়সায় বিরয়ানী খাওয়াতে তিনি পারেননি ।
এর পরেও আছে অনেক ইতিহাস এই বিরয়ানী নিয়ে। সেই থেকেই কলকাতা বাসী বিরয়ানীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। কলকাতার এমন কোন গলি বা রাজপথ নেই যেখানে লাল কাপড়ে ঢেকে বড় হাঁড়িতে করে এই বিরয়ানী বিক্রি হয়না। এছারাও আছে বেশ কিছু নাম করা বিরয়ানীর রেস্তোরা। তারই মধ্যেয় অন্যতম হল আরসালান।
গত ১৩ই আগস্ট তারা তাদের নতুন শাখার উদ্বোধন করলেন সোদপুরে। মদন মিত্র ও সৌগত রায়ের হাত ধরে শুরু হল আরসালানের এই নতুন শাখা ।