ঐতিহ্যশালী জ্ঞান মঞ্চে ২০ আগস্ট অনুষ্ঠিত হল মুদ্রা ডান্স ও যোগ ইনস্টিটিউটের প্রথম বার্ষিক অনুষ্ঠান। নাচ, কবিতা ও নাটকের মাধ্যমে উৎসব মুখর হয়ে উঠেছিল এদিনের অনুষ্ঠান।

এদিন মঞ্চে বিশেষ অতিথি হিসবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী দেবযানী চ্যাটার্জি, অভিনেত্রী মাধুরীমা চক্রবর্তী, গুরু সঞ্চিতা ভট্টাচার্য, শিশির বিশ্বাস। আলো ঝলমলে এই অনুষ্ঠানে বলিউডি গানের তালের পাশাপাশি বেজে উঠলো অরিজিৎ সিংয়ের কন্ঠে প্রয়াত লতা মঙ্গেশকরের শ্রদ্ধার উদ্দেশ্যে গাওয়া ‘হেইয়ো রে হেইয়ো হে রামা’ গানটি। একদিকে যেমন কন্টেমপরারি টাপাটানিতে নাচতে দেখা গেল মুদ্রার সদস্যদের আবার অন্যদিকে বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা কবিদের রচনা শোনাল মুদ্রার কচিকাচারা। আলোকোজ্জ্বল মঞ্চে নৃত্য আবৃত্তির পাশাপাশি নাটকের ফার্স্ট কলও শোনা গেল। ‘এক যুদ্ধ রাজার গপ্পো’ নাটকের মাধ্যমে সকল যুদ্ধবাজ নেতাদের এক বিশেষ বার্তা দিল মুদ্রার খুদেরা।

এদিনের এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে ইমন গুপ্ত জানালেন, “আর্ট বা শিল্পকে কোনো নির্দিষ্ট সময় বা বয়সের গন্ডিতে বাঁধা যায়না। আর সেই ভাবনাকে সবার সামনে আনতেই মুদ্রার এই যাত্রা। সমাজে সো কলড স্টিরিওটাইপকে এড়িয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকাটাই জীবনের মূল মন্ত্র হওয়া উচিৎ। সেই বার্তাই দেয় আমাদের প্রয়াস, মুদ্রা।

সমাজের ঘেরাটোপে বাঁচতে গিয়ে, মানুষের ইচ্ছে মতন চলতে গিয়ে আমরা অনেক সময়ই নিজেরা কি চাই সেটাকে গুরুত্ব দিই-না। আর সেই নিজের চাওয়া গুলোকে গুরুত্ব না দিতে দিতে একদিন সম্পূর্ণ রূপে নিজেদের চাওয়া পাওয়া গুলোকে হারিয়ে ফেলি আমরা। আর একটা সময়ে এসে অন্য একজনকে নিজের সেই স্বপ্নে বাঁচতে দেখে আফসোস হয়। সেইখানেই দাঁড়িয়ে সেই সকল মানুষের একমাত্র ঠিকানা হতে পারে মুদ্রা ডান্স এবং যোগ ইন্সটিটিউট। মুদ্রা এমন একটা প্লাটফর্ম যেখানে মানুষ নিজেকে খুঁজে চেষ্টা করে। ডান্সার এবং নন ডান্সার সকলকে সাথে নিয়েই মুদ্রার এগিয়ে চলা। আমরা শুধু বাংলা নয়, ভারত নয়, গোটা বিশ্বে সম্ভবত এমন একটা প্লাটফর্ম যেখানে বয়স, কালের নিষেধকে উপেক্ষা করে শুধু প্যাশনটাকেই অগ্রাধিকার দিয়ে মানুষকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করি। শুধু ২০২২ এই নয়, আপনাদের সাহায্য পেলে আগামীতে এই অনুষ্ঠান, এই মঞ্চ আরও অনেক বড় হবে এই আশাই রাখছি।”