বর্তমান কালে প্রায় দিন-ই আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের চোখের সামনে আমাদের প্রিয় মানুষরা হ্রদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন । যাদের বয়স এতটাই অল্প যে তাদের হ্রদরোগে আক্রান্ত হবার  কারন বা লক্ষন আমরা কোন টাই মেনে নিতে পারিনা। আর হার্ট এটাক হবার কোন স্থান কাল হয়না আর আপনাকে সামান্যতম সময় দেবে না নিজেকে সামলানোর।

হৃদরোগে আক্রান্ত হবার মুল কারন অনিমিয়ত জীবন যাপন ।  কাজের বা কেরিয়ারের চাপে আমাদের অনেকেরই সঠিক সময় মেনে খাওয়া বা বিশ্রাম নেওয়া হয়ে ওঠে না। বেশিরভাগ মানুষের সপ্তাহের শেষে ছুটিতেই বাড়িতে তৈরি রান্না জোটে না হলে ফাস্ট ফুডের ওপরেই ভরসা রাখতে হয়। আবার অন‍্যদিকে বর্তমান যুব সমাজ অনলাইনে অর্ডার করে প্রায় ২৪ ঘন্টাই ফাস্টফুডের ওপরেই দিন যাপন করে যা পরবর্তীকালে হৃদরোগ আমন্ত্রণ করার জন‍্য যথেষ্ট। তাই এই সব কিছুর মধ‍্যেও যদি আমরা আমাদের খাদ‍্য তালিকায় সামান‍্য কয়েকটি খাবার নিয়মিত অভ‍্যাস রাখি তাহলে হয়তো আমরা হৃদরোগ থেকে অনেকটাই দুরে থাকতে পারি।

১. খেজুর : খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ‍্যান্টিঅক্সিড‍্যান্ট ও পলিফেনল যা রক্তে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্যে করে ফলে সুস্থ থাকে আমাদের হৃদযন্ত্র। খেজুর খুব সহজেই বাজারে উপলব্ধ।

২. বেদানা – বেদানায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইটোকেমিক‍্যাল নামের অ‍্যান্টিঅক্সিড‍্যান্ট যা আর্টারির স্বাথ‍্য ভালো রাখতে সাহায্য করে ফলত হার্ট এটাকের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

৩. কাঁচা হলুদ – অনেক টা আদার মতো দেখতে এই কাঁচা হলুদ খুব সহজে শাক শব্জির দোকানে আপনি পেয়ে যাবেন। কাঁচা হলুদে থাকা অ‍্যান্টিঅক্সিড‍্যান্ট উপাদান আর্টারিতে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয়না। ফলে আমাদের হৃদযন্ত্রে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে।

৪. ব্রকোলি – ব্রকোলিও শাক শব্জির দোকানে খুব সহজেই উপলব্ধ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন যা আর্টারির কর্মক্ষমতা বাড়ায় এবং ব্রকোলি তে থাকা ফাইবার রক্তের কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্যে করে।

৫. দারচিনি – গোটা দারচিনি চায়ের সাথে ফুটিয়ে সেবন করতে পারেন। দারচিনি তে আছে প্রচুর পরিমানে অ‍্যান্টিঅক্সিড‍্যান্ট যা রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল পরিমাণ কমিয়ে হার্ট এটাকের সম্ভাবনা কমায়।

৬. গ্রিন টি – বাজারে নানান ব্র‍্যান্ডের গ্রিন টি উপলব্ধ। আপনার পছন্দ অনুযায়ী যে কোন একটি কিনে দিনে দু-বার সেবন করতে পারেন। এর অ‍্যান্টিঅক্সিড‍্যান্ট যা রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল পরিমাণ কমিয়ে হার্ট এটাকের সম্ভাবনা কমায়।